জঙ্গিবাদ নিয়ে তিনটি লেখা
ওরা জঙ্গি
ওদের নেই কোন ধর্ম,
ধর্মের লেবাসধারী শয়তান।
শান্তির পথকে করে প্রশ্নবিদ্ধ,
ওরা জঙ্গি
হত্যায় খুঁজে মুক্তির সমাধান।
ওদের নেই কোন দেশ,
শান্তিপ্রিয় জাতির বদনাম।
দেশ জাতিকে করে সমালোচিত,
ওরা জঙ্গি
হত্যায় খুঁজে সত্যের সমাধান।
ওদের নেই কোন পরিবার।
বুঝেনা মায়ের আকুতি, বোনের টান,
বাবার কাঁধে লাশের ওজন।
ওরা জঙ্গি
হত্যায় খুঁজে শান্তির সমাধান।
ওরা শিখেনি তায়েফ থেকে,
বুঝেনি কোরআন,
ওরা জানেনা ইতিহাস,
চিনেনা সালাউদ্দিন।
হত্যাই নয় সমাধান।
ওরা ভুলের মাঝে,
বিকৃত মগজে ভর করে
বিতারিত শয়তান।
ওরা ভুল পথে খুঁজে সমাধান,
ওদের জন্য লাঞ্চনা, বঞ্চনা,
ঘৃণা ও অপমান।
.........................................
জঙ্গি
কেরে তুই? কেরে তুই?
কেমন অঙ্গ ভঙ্গি!
কত শত পেশা থাকতে
হইলি কেন জঙ্গি?
কেমনে তোরা মানুষ মারিস?
মায়া দয়া নাই,
আত্মঘাতী হও যে কেন?
জীবনটা যে বৃথাই।
বাবা মাকে কেমনে ভুলিস?
অস্ত্র করে আপন,
আত্মগোপন আর কত কাল?
জড়ায়ে মিথ্যের কাফন।
..........................................
জঙ্গিবাদ রুখতে চাই সচেতনতা
বর্তমানে আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা কী? সবাই অকপটে জবাব দিবে, জঙ্গিবাদ। এটা শুধু আমাদের দেশের সমস্যাই না। পুরো বিশ্বের সমস্যা। প্রথমে আমাদের দেশকে নিয়ে ভাবতে হবে। এই সমস্যা উত্তরণে একটা কার্যকরী সমাধান খুঁজতে হবে। আমার মতে, সঠিক উপায়ে জন সচেতনতা সব চেয়ে কার্যকরী সমাধান হতে পারে। এখন প্রশ্ন আসতে পারে, জঙ্গিবাদ বিরোধী জন সচেতনতা বুঝলাম। তবে সঠিক উপায়টা কী?
আমাদের দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ মুসলিমের অধিকাংশই ধর্মপ্রাণ। ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা, মসজিদের ইমাম সাহেব, এলাকার আলেম কিংবা পীর সাহেবকে বেশি শ্রদ্ধা ও সম্মান করেন। তাঁদের কথা শুনেন, মানেন। সুতরাং সঠিক উপায়ে সচেতনতার প্রথম ধাপ হলো মসজিদের ইমাম সাহেব, আলেম কিংবা পীর সাহেবকে জঙ্গিবাদ বিরোধী প্রচারণায় সম্পৃক্ত করা। এদের নিয়ে বিভিন্ন কর্মশালার আয়োজন করা। শুক্রবার মসজিদের আলোচনায় কুরআন হাদীসের আলোকে জঙ্গিবাদ সমস্যা, জঙ্গিবাদের সাথে ইসলামের সাংঘর্ষিক ব্যাপার গুলো তুলে ধরা। জঙ্গিবাদ ইসলাম সম্মত নয়, অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যাকে ইসলাম সমর্থন করেনা শীর্ষক সভা সেমিনারের আয়োজন করা। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে জঙ্গিবাদ বিরোধী প্রচারণা চালানো। পাঠ্যবইয়ে জঙ্গিবাদ সম্পর্কিত প্রবন্ধ সংযুক্ত করা। এতে জঙ্গিবাদ সমস্যা, কুফল, ধর্মের আলোকে জঙ্গিবাদ ইত্যাদি বিষয় থাকতে পারে। জঙ্গিবাদ বিরোধী কুরআনের আয়াত ও হাদিস সম্বলিত পোস্টার লাগানো।
জঙ্গিবাদ যে বড় সমস্যা সবাইকে বুঝতে হবে। যার যার অবস্থান থেকে সচেতন হতে হবে। প্রতিরোধ করতে হবে। আমার দেশ জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হতে পারেনা। জঙ্গিবাদ নামক চারাগাছটিকে কখনোই বড় হতে দেয়া যাবেনা।
কোন মন্তব্য নেই